আমাদের দেশে community transmission, যাকে বলে 3rd stage, শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকার এখনও অস্বীকার করছে। সরকারের প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের কাছে এসে কি বললেন? না, উনি বললেন না কিভাবে এটাকে আটকানোর চেষ্টা চলছে, কিভাবে আরও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে পরীক্ষার অনুমতি, আর চিকিৎসার অনুমতি, দেওয়া হচ্ছে বা হচ্ছে না। উনি কি বললেন? একদিন, তাও রবিবার, সবাই ঘরে বসে থাকবে, আর বিকেল পাঁচটায় নাটক করবে।
আমি যতদূর জানতাম, সরকার মানুষের প্রতিনিধি, মন্ত্রীদের কাজের কথা বলতে আমরা তাঁদের নির্বাচন করেছি, নাটক করতে নয়। প্রধানমন্ত্রী যা করলেন, তা হলো মানুষকে টুপি পরানো। কারণ কাজের কথা বলতে গেলে যে প্রশাসনের গণ্ডগোলগুলো ধরা পরে যাবে। বাচ্চারা কাঁদলে মা-বাবা কি করেন? লজেঞ্চুস ধরিয়ে দেন। এটাও ঠিক তাই। লজেঞ্চুস, দেশের মানুষ খুশ! বাঃ বাঃ বাঃ…
এটা তো গেল একটা কথা। এবার আসল কাজের কথায় আসা যাক। curfew-টা আলাদা করে করার প্রয়োজন ছিল না, জোর করে সব দোকানপাট বন্ধ করার প্রয়োজন ছিল না বা নেই। মোটের ওপর চলাফেরা বন্ধ করে, অফিসকাছারি বন্ধ করে, যে দিকে ব্যাপারটা এগিয়েছিল, সেটাকে দীর্ঘায়িত করলেই ঝামেলা মিটে যেত। কেন? কারণ দেশের ৭০% মানুষ গরীব, দিন আনে দিন খায়। একবারও তাদের কথা ভেবেছেন? এই ‘আমি ঘরের ভিতর বসে আছি ভালো আছি’-টা না, আমাদের মানায়, সকলের নয়। একবার সবজির বাজারে গিয়ে দেখেছেন? তারা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্থ, তার ওপর জোর করে curfew হওয়ায় এবার মরতে বসেছে। না, এক ফোঁটা বাড়িয়ে বলছি না, যান গিয়ে দেখে আসুন! বলছে দিনের যে ৫০৳ দিতে হয় বসার জায়গাটার জন্য, তাও উঠছে না এমনিতেই, তার ওপর এই ‘জনতা curfew’-টা কি না করলেই হতো না? এ রাষ্ট্র কি নিষ্ঠুর! প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় ‘দেশ’-এর কথা বলেন। বলছি, দেশ মানে কি বলুন তো? কেবলই গাছপালা, মাঠঘাট, দূষিত হাওয়া? দেশের মানুষ নয়? নাকি শুধুই গরু, ঘুঁটে, গোমূত্র? (যে গোমূত্র পান করে নাকি COVID-19 থেকে মানুষ সেরে যাবেন, কিন্তু পান যাঁরা করলেন তাঁদেরকেই হাসপাতালে যেতে হলো। যাকগে, সে কথা না হয় থাক এখন।) প্রধানমন্ত্রী এই দিনমজুরদের জন্য কী করলেন? ঘণ্টা! আরে হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন, ঘণ্টা! তার সঙ্গে থালা বাটি চামচেও… আর এদিকে যে স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানানোর জন্য এত ঘণ্টা বাজানো, তাদের কথাটা এক কানে দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বাহির! উল্টে কী হলো? গরীবরা তো দিনমজুরী হারিয়ে মরলই, ওদিকে ড্যাংড্যাং করতে করতে কিছু উন্মাদের দল রাস্তায় নেমে ৪৫ মিনিট ধরে curfew-কে তোয়াক্কা না করে চূড়ান্ত অসভ্যতা করলো। “সত্য সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ…”
- They cannot work from home. Or follow social distancing. Here is why.
- Mumbai washes its hands of lakhs, do’s & don’ts don’t matter here.
- From across India how COVID-19 has hit small business owners, traders.
- Investigation: Crucial coronavirus gear supply clouded by allegations of government ‘malintention’.
- Not just clapping: Indian medical professionals take to Twitter to demand resources, equipment.
“সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করোনি।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মানুষ হলে এই নিষ্ঠুরতাকে চিনতে না শেখা? মানুষ হলে এই টুপি পরে থাকা, লজেঞ্চুস খেয়ে খুশি থাকা? আবার অন্যকেও টুপি পরানো, বিষযুক্ত লজেঞ্চুস খাওয়ানোর চেষ্টা করা?
©দেবদত্ত পাল